রুদ্র কমল
ঠাকুর উৎসর্গঃশোষিত শ্রমিকদের কে
মিথ্যার ফুলঝুরি আর মেকি ভালোবাসায় ভরা এই শহর
যেখানে শরীর খেলার গদ্যে মাতামাতির প্রেমের বহর,
ইট কাঠ পাথরের কলকব্জায় মানুষ এখানে জড়
ক্ষুধার কান্নার আওয়াজে এখানে দুঃখগুলো জমাট বাঁধা কালো
রক্তের মত গাড়।
শোষণের হাতিয়ার এর প্রচণ্ড গর্জনে দরিদ্র যেথায়
নিষ্পেষিত
আর তারই পাশে গড়ে ওঠে অট্টালিকা আজানুলম্বিত,
বিকেলের সোনালি রোদ যেখানে চুরি যায়
গরিবের আশার সপ্ন নিত্য যেথায় ধুলায় গড়াগড়ি খায়।
এখানে প্রতিটি ইটের ভাঁজে জমে আছে শ্রমিকের রক্ত
প্রতিটি দেওয়ালের রঙে আঁকা আছে নিদারুন কষ্টের অবাক্ত,
এখানের বাতাসে ঘৃণা আর বঞ্চনার উটকো গন্ধ
পুঁজিবাদের যাঁতাকলে শ্রমিকের দম বন্ধ।
অলিতে গলিতে ক্ষুধা আর কান্নার আওয়াজ
ভরপেট না খেতে পাওয়াই এখানকার নৈমেত্তিক রেওয়াজ,
নিয়মিত শুঁকে যাওয়া মারুতির কালো ধোঁয়া
আর লঘু পাপে গুরু দণ্ড মাথা পেতে নেওয়া।
এখানেই গরিব মায়ের সন্তানেরা না খেতে পেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে
এ শহরের লোকেরাই কোটি টাকার গাড়িতে চড়ে,
এখানেই সরলারা পতিতা হয়
এ শহরে নিত্য মৃত্যু ভয় তাড়িয়ে বেড়ায়।
জানিনা কখন কবে
এই ইতিহাসের যবনিকা হবে,
তবু সেই আসাতেই বসে এ মন বৃথাই দিন গুনে যাবে
শোষণহীন সমাজের দেখা একদিন পাবেই পাবে।
পায়রাঘর, আজিমপুর
১লা মে, ২০১৩ ইং
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন